‘ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যাখ্যানের চাপে নিজেকে শেষ করে ফেলব ভেবেছিলাম!’
হাইলাইটস
- টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সেই যাত্রার কথাই বলেছেন জনপ্রিয় গায়ক।
- কী ভাবে তিনি নিজের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, সে কথাও জানিয়েছেন কৈলাস খের।
- যখন মানুষ আমাকে বলেন যে, আমার গান তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে তখন আমি ধন্য হই।
স্বাধীন গায়ক থেকে বলিউডে, সবচেয়ে কম বয়সে পদ্মশ্রী প্রাপক। এই যাত্রা কেমন ছিল?
যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। প্রথম দিকে কেউ আমার উপর ভরসা পেত না। সেই সময়ও আমি ভেঙে পড়িনি। কিন্তু বার বার প্রত্যাখ্যানের পর আমি অভ্যস্তও হয়ে পড়েছিলাম। আমার লক্ষ্য থেকে তখনও আমি সরে যাইনি। আর তার পর তো সবাই দেখেছেন, সবচেয়ে কম বয়সে পদ্মশ্রী প্রাপক হতে। তবে প্রথম নমিনেশন ২০১৭-র আগেও ২০১৩ সালে পেয়েছিলাম। তখন অবশ্য অন্য সরকার ক্ষমতায় ছিল। মিউজিক আমার কাছে থেরাপির মতো। যখন মানুষ আমাকে বলেন যে, আমার গান তাঁকে নতুন জীবন দিয়েছে তখন আমি ধন্য হই।
আপনার জীবনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা কার?
আমার কেউ নেই, এবং এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। মুম্বই আসার পর একাধিকবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আমাকে। এতবার হয়েছে এই ঘটনা যে, নিজেকে শেষ করে ফেলব ভেবেছিলাম। আমি সব হারিয়ে ফেলেছিলাম, এবং সেটাই শেষ পর্যন্ত আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জোগালো। এখানে তুমি কতটা জানো বা অভিজ্ঞতা রয়েছে তার কোনও দাম নেই। কেউ এখানে গাইড করার নেই। এখানে কতটা খারাপ মানুষ রয়েছেন তা আমি উপলব্ধি করেছি।
আমি ঠিক করেছিলাম, আমি এমন হব না। অন্য কাউকে সাহায্য করার জন্য আমার বৃদ্ধ হওয়ার অপেক্ষা করব না। আমি নিজেকে কথা দিয়েছিলাম যদি আমি সাফল্য পাই, তাহলে আমি নতুন গায়কদের সুযোগ দেব। এখানে শুধুই নিজের পরিবারের লোক ছাড়া কাউকে অনুপ্রেরণা দেয় না। প্রতি বছর আমার জন্মদিনে ‘নয়ি উড়ান’ নামের একটি উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে নতুন গায়কদের সুযোগ দেওয়া হয়। অনেকে গান জানা হলেও, কী ভাবে পারফর্ম করতে হয় তা জানে না। আমি সেগুলোই এখানে শেখাই।
কৈলাসা এখন ব্যস্ততম ব্যান্ড। এটা আমাদের বিশাল প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: করোনার কালবেলায় ছোট অনুষ্ঠান, বিয়ে সারলেন আদিত্য নারায়ণ ও শ্বেতা আগরওয়াল
এই সময় ডিজিটালের বিনোদন সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।