ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সিনেমাগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, তাঁকে বেশিরভাগ সিনেমাতেই অনেক সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে। এমনকি বাংলাদেশে যখন সিনেমায় কাজ করা শুরু করেছিল অভিযোগ আছে তখন থেকেই নাকি তিনি অশ্লীলতার প্রচলন করেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। তাইতো বলা যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মানেই যেন এক একটি যৌনতার গল্প। তার প্রায় প্রতিটি ছবিই বলে সম্পর্কের নানা গল্প। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।
সম্প্রতি কলকাতার নির্মাতা অগ্নিদেবের ‘গহীন হৃদয়’ ছবিতে অভিনয় করলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ‘যৌনতায় ভরপুর’ এমন তকমা অগ্নিদেবের মাথায় উঠেছে বহুদিন আগেই। ঋতুপর্ণাও স্বীকার করলেন সে কথা।
কলকাতার একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাতকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘এ ছবিতে অগ্নির দেখার চোখটাই আলাদা। আর গল্পের প্রয়োজনে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে তো যৌনতা আসবেই! সেটাকে অস্বীকার করব কেন বলুন তো? আর এই সাদা-কালোর ব্যাকগ্রাউন্ডে যৌনতার নান্দনিকতাও চমৎকার ফুটে উঠেছে এই ছবিতে।’
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বলেন, ‘একেকজন পরিচালক একেক ধারায় চলেন। অগ্নির (পরিচালক) ছবিতে নায়িকার ‘ফিজিক্যালিটি’ একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে। অন্য পরিচালক হয়তো সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানসিক চেতনার দিকটা বড় করে দেখান। এটাই স্বাভাবিক।’
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘সোনালি বেন্দ্রের ক্যান্সারের কথা পড়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছিল! এমন একটা রোগ যার নিরাময়ের ব্যবস্থা নেই! কোন সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা? কোনও দাম্পত্যে যদি ক্যান্সার ঢুকে পড়ে? সম্পর্কটা কোথায় যায়? এবং এমন এক দিনে এই ক্যান্সারের প্রবেশ যেখানে নারী ঠিক করেছেন তিনি আর এই সংসারে থাকতে পারছেন না!’
অগ্নিদেব এর আগে নিজের গল্পের ওপর ভিত্তি করেই ছবি নির্মাণ করলেও ‘গহীন হৃদয়’ নির্মিত হয়েছে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে। ছবিতে কৌশিক সেন এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ পেয়েছে। যা বড় পর্দায় দেখার জন্য কলকাতার মানুষ মুখিয়ে আছে বলেও বলছে সেখানের গণমাধ্যমগুলো।
ঋতুপর্ণা-র আর প্রমান করার কিছু নেই:
ঋতুপর্ণা আরো বলেন, ‘এত বছর পরে ঋতুপর্ণার নতুন করে কোথাও কিছু প্রমাণ করার নেই। একেবারেই নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০২০ সালে ভারতের প্রত্যেক ঘরে এক জন করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী থাকবে। ভাবা যায়! সোনালি বেন্দ্রের ক্যান্সারের কথা পড়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছিল! এমন একটা রোগ যার নিরাময়ের ব্যবস্থা নেই! কোন সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা?’
তিনি বলেন, ‘একটা মানসিক টানাপড়েনের ছবি ‘গহীন হৃদয়’। আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের হৃদয়ে কী চলছে! আর ক্যান্সারের মতো সমস্যায় এক জন অভিনেত্রী হিসেবে আমি রিয়্যাক্ট করব না তো কে করবে? পরিচালক অগ্নি দেব এই ছবিতে সাহিত্য নিয়ে যে ট্রিটমেন্ট করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্যতা রাখে।